হঠাৎ সাইনোসাইটিসের পুরনো সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠায় নাক বন্ধ হয়ে গেছে জাতীয় দলের লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের। এর ফলে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি।











































গতকাল বুধবার নাকের সমস্যা নিয়ে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিপ্লব। চিকিৎসক দেখে আপাতত তাকে ১৫ দিনের ওষুধ দিয়েছে। ওষুধে সেরে না উঠলে বিপ্লবকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ফলে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তরুণ তারকার এন্ডোনেজাল এন্ডোস্কোপিক সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
কিছুদিন আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিপ্লবের বাবা। পরে জানা যায় হার্টে সমস্যা। অ্যাজমা রোগী হওয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার। বিপ্লবের সমস্যাটিও বেশ পুরনো।
























































বিপ্লবের সাইনাসের সমস্যা যে প্রবল হয়ে উঠেছে সেটি বিসিবি ও মেডিকেল বিভাগ জানতে পারে অ্যাপের মাধ্যমে। ক’রোনা মহামারীর দুঃসময়ে শারীরিক অবস্থার আপডেট জানতে খেলোয়াড়দের অ্যাপের আওতায় এনেছে বোর্ড।
‘এজ১০’ নামের মোবাইল অ্যাপটিতে লগ-ইন করে বেশ কয়েকটি লিখিত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় খেলোয়াড়দের। উত্তর নেতিবাচক এলে রেড জোনে রাখা হয় তাদের। শ্বাসকষ্ট আছে কিনা? উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলতেই লাল সিগন্যাল উঠে যায় বিপ্লবের নামের পাশে।
























































এদিকে আরেক তরুণ ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও পড়েছেন রেড জোনে। অর্থাৎ, বর্তমানে ঝুঁকিতে আছেন। এ অলরাউন্ডার খাবারে স্বাদ পাচ্ছেন না, গায়ে জ্বরও আছে। দুই তরুণ ছাড়া বাকি সব ক্রিকেটারের পাশে গ্রিন সিগন্যাল, মানে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন তারা।
বিসিবির ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফর্মেশন বিভাগের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু জানালেন, ‘এখন পর্যন্ত এ দুজনই রেড জোনে আছেন। খেলোয়াড়রা মোবাইলে ঢুকে ১৮টি প্রশ্নের উত্তর দেবে এবং সেটি আমাদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে চলে আসবে। আমি ছাড়াও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার সাব্বির খান ও মেডিকেল বিভাগের প্রধান ডা. দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে চলে যাবে।’
ডা. দেবাশীষ জানালেন, ‘এটি মূলত কো’ভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে যদি দেখি শ্বাসকষ্টের সমস্যা অন্যকোনো কারণে হচ্ছে তাহলে রেড থেকে তাকে গ্রিন করে দেয়া যেতে পারে।’