বার্সেলোনা বোর্ডের উপর মেসির ক্ষোভ আগে থেকেই ছিল, বার্য়ান মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে ৮-২ গোলে ধরাশায়ী হওয়ার পর সেই ক্ষোভের আগুন যেন এখন সব কিছু পুড়িয়ে দিচ্ছে। ‘মেসি মানেই বার্সেলোনা, বার্সেলোনা মানেই মেসি’ এই তত্ত্বও যেন একটু একটু করে হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়ার যোগাড়। কেননা, মেসি বার্সা ছাড়তে চাইছেন। আর সেটা এই গ্রীষ্মেই। মেসির মতো ফুটবলারকে কে না দলে পেতে চাইবে! মেসিকে পেতে বরাবর মরিয়া ইন্টার মিলান এবারও সুযোগ খুঁজছে। তবে এই মুহুর্তে মেসি দলে ভেরানোর সবচেয়ে বাস্তবিক পক্ষ ম্যানসিটি। ইংলিশ ক্লাবটি মেসিকে কিনতে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত খরচ করতে রাজি যা কিনা ইউরোপের অনেক শীর্ষ ক্লাবের মার্কেট ভ্যালুর চেয়ে বেশি।
ফুটবল বিষয়ক বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট টান্সফার মার্কেটের তথ্য অনুসারে এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ । গ্যালাকটিকোদের মার্কেট ভ্যালু ১.০৭ বিলিয়ন ইউরো। এরপরেই আছে ম্যানসিটি; মার্কেট ভ্যালু ১.০৬ বিলিয়ন ইউরো। ধনীর ক্লাবের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা লিভারপুলের মার্কেট ভ্যালু ১.০২ বিলিয়ন ইউরো। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ক্লাব ম্যানসিটি মেসিকে কিনতে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত খরচ করতে রাজি, এই পরিমাণ অর্থ কোন কোন ক্লাবের মার্কেট ভ্যালুর চেয়ে বেশি। যেমন, নিওনেল মেসির সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বর্তমান ক্লাব জুভেন্টাসের মার্কেট ভ্যালু মেসির জন্য সিটিজেনদের অফার করা অর্থের চেয়ে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ইউরো কম। তুরিনের বুড়িদের বর্তমান মার্কেট ভ্যালু ৬১০.২০ মিলিয়ন ইউরো।
এছাড়া আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, বরুশিয়া ডটমুন্ড, নাপোলির মতো ক্লাবেরও মার্কেট ভ্যালু ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর কম। এদিকে, মেসির বার্সা ছাড়ার খবরকে শুরুতে অনেকেই কেবল গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক মার্সেলো বেকলার মেসির ক্লাব ছাড়ার খবর দিলে আলোচনা নতুন মোড় পায়। কেননা, গেল কয়েক বছরের ধরে বার্সেলোনা হাড়ির খবর সবচেয়ে বেশিবার সবার আগে বের করে আনতে পেরেছেন এই ক্রীড়া সাংবাদিক। ২০১৭ সালে নেইমারের বার্সা ছেড়ে পিএসজি যাওয়ার খবর সবার আগে বেকলারই দিয়েছিলেন।