জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর বিশ্বাস টেস্টে নিয়মিত তিন পেসার নিয়ে খেলার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের। লঙ্কানদের বিপক্ষে একাদশে তিন পেসার নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সাজানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পেসাররা কিছু সাফল্য পেলেও লাল বলের ক্রিকেটে সেটা শূন্যের খাতায় বলা যায়। দেশের মাটিতে টেস্ট খেললে সর্বোচ্চ দুজন বা একজন পেসার, এমনকি কোনো পেসার ছাড়াও খেলতে দেখা যায় টাইগারদের। উপমহাদেশের অন্যান্য ভেন্যুতে খেলতেও তাই।
কিন্তু যখনই উপমহাদেশের বাইরে খেলতে যেতে হয় তখন আবার বড় দায়িত্ব পড়ে পেসারদের কাঁধে। তখন পেসাররা জ্বলে উঠতে না পারায় বিপদে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। যেকারণে ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের আশা করে গেলেও বিদেশের মাঠে হতাশা বার বারই বেড়ে যায়। যেকারণে ভবিষ্যত যেন এমন পরিস্থিতি না হয় তার জন্য বড় পরিকল্পনা নির্বাচকদের। আর সেই পরিকল্পনা মোতাবেক নিজেদের পুলে রাখা পেসারদের উপর আস্থা রাখছেন নান্নু।
তিনি বলছেন, ‘এখন কিন্তু কিছু ফাস্ট বোলার আছে, যাদের আমরা টেস্টের জন্য তৈরি করে রাখছি। চার-পাঁচজনের পুল করা আছে। সেখান থেকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে। টিম কম্বিনেশনের কারণে উপমহাদেশে আমরা দুজন ফাস্ট বোলার খেলাচ্ছি। বাইরে গেলে তিন পেসার খেলানোর কথা চিন্তা করি। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে এই কম্বিনেশন ঠিক করা হবে (শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য)।’
‘তারপরও আমি মনে করি, আমাদের যে ফাস্ট বোলার আছে, আমাদের সামর্থ্য আছে তিন পেসার নিয়ে খেলার। এই বিশ্বাস আমাদের আছে ’– যোগ করেন তিনি।
টেস্টে পেস বোলিংয়ের নেতৃত্বে এখন বলতে গেলে আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি সাদা পোশাকে নিয়মিত। সঙ্গে আছেন ইবাদত হোসেন। শ্রীলঙ্কা সফরে তাদের দুজনকেই প্রধান ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।
সঙ্গে টেস্টের জন্য নিজেকে নতুন করে তৈরি করা মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদরাও রয়েছেন শ্রীলঙ্কা সফরে দলে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে।