সাইবার বুলিং থেকে শিশুদের রক্ষায় কাজ করে এবছর আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের কিশোর সাদাত রহমান। তার এই সফলতার পেছনে যারা ভুমিকা পালন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।



নেদারল্যান্ডসের হেগে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে নড়াইলের ১৭ বছর বয়সী সাদাতের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সাদাতকে এই পুরস্কার দেন।
শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নাজুক অবস্থায় থাকা শিশুদের সুরক্ষায় কাজের জন্য প্রতিবছর এই পুরস্কার দেয় “কিডস রাইটস” নামের একটি সংগঠন। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারে।
সাখাওয়াত হোসেন ও মলিনা খাতুন দম্পতির একমাত্র সন্তান সাদাত। বাবা পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে আগে নড়াইলে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলায়। নিজে চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন জানিয়ে সাদাত বলেন, “বাবার চাকরির সুবাদে কয়েক বছর আগে সাতক্ষীরা থেকে এসে নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমি একটু ডানপিটে এবং জেদী স্বভাবের; চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি।”
নিজের সফলতার পেছনের কারিগরদের কথা স্মরণ করর সাদাত জানানে “এই সাফল্যের পেছনে আমার পরিবার, আমাদের মাশরাফি ভাই তার সহধর্মিনী সুমি আপু, নড়াইলের ডিসি আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন স্যারের অনেক অবদান আছে। মাশরাফি ভাই সব সময় আমাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।”
সাদাত আরও বলেন, “সারা বিশ্বে কয়জন বিল গেটস, কয়জন মাশরাফি হতে পারে? এভাবে না বলে আমাদের বলুন, তুমিও হতে পারো বিল গেটস, মাশরাফি। টিনএইজরা যখন সাইবার ক্রাইমের শিকার হন তখন তারা সব জায়গা থেকে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। অপরাধ না করেও তাদের জীবন দিতে হয়। থানায় অভিযোগ জানিয়েও সব সময় প্রতিকার পায় না।”
“বাংলাদেশের একটি ছোট জেলা নড়াইলে বসে আইসিটি বেইজড কাজ করে বিশ্ব জয় করা থেকেই বোঝা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, সত্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের রোল মডেল।”
এদিকে সাদাতের এই অসাধারণ অর্জনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে অনেক অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ পোস্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের কিশোর সাদাত রহমান। সাইবার বুলিং ও সাইবার অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে ‘শিশুদের নোবেল’খ্যাত এই পুরস্কার জিতে নেয় নড়াইলের ১৭ বছরের এই কিশোর।