নেশন্স লিগের ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে স্পেন। ঘরের মাঠে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লুইস এনরিকের দল। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে জার্মানির এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়।
ম্যাচের শুরুতেই স্প্যানিশদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে রামোসের নিচু ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়্যার।



মোরাতার নৈপুণ্যে সপ্তদশ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় স্পেন। দূরের পোস্টে ফাবিয়ান রুইসের নেওয়া কর্নারে লাফিয়ে কোনাকুনি হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জুভেন্টাসে খেলা স্ট্রাইকার।
খানিক পর আবারও জালে বল পাঠান মোরাতা; কিন্তু অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে; নেশন্স লিগে ভিএআর না থাকায় অবশ্য যাচাই করারও উপায় ছিল না।
প্রবল চাপ ধরে রেখে ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। লিপজিগের মিডফিল্ডার দানি ওলমোর হেড ক্রসবারে লেগে ফেরার পর ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে জালে পাঠান ম্যানচেস্টার সিটির তরুণ ফরোয়ার্ড তরেস।
৩৮তম মিনিটে আরও একটি ধারালো আক্রমণ কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান জার্মান ডিফেন্ডার ফিলিপ মাক্স। কোকের নেওয়া ওই কর্নারেই হেডে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে জার্মানির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বলতে গেলে শেষ হয়ে যায়। পাল্টা আক্রমণে হোসে গায়ার পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলট করেন তরেস।
৭১তম মিনিটে দুর্দান্ত গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তরেস। নাপোলির মিডফিল্ডার রুইসের পাস ডি-বক্সের ঠিক বাইরে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
ছয় মিনিট পর সের্গে জিনাব্রির জোরালো শট ক্রসবারে লাগলে সান্ত্বনাসূচক গোলের দেখাও পায়নি জোয়াকিম লো-র দল।
উল্টো শেষ দিকে তারা হজম করে আরেকটি গোল। ৮৯তম মিনিটে হোসে গায়ার পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে স্কোরলাইন ৬-০ করেন রিয়াল সোসিয়েদাদের উইঙ্গার ওইয়ারজাবাল।