বাংলাদেশের আন্তর্জাতি ক্রিকেটে পথচলার দুই দশকের বেশি সময়ে প্রাপ্তির সঙ্গে হতাশার গল্পও আছে বিস্তর। পাওয়া না পাওয়ার দাঁড়িপাল্লায় হতে পারতো অনেক কিছুই। অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো আক্ষেপ আছে আম্পায়ারিংয়েও। সবশেষ ১০ বছরে বাংলাদেশের কোন আম্পায়ার টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পাননি। কখনোই আইসিসির এলিট আম্পায়ারদের তালিকায় ছিলেন না লাল-সবুজের কেউ। তবে সামনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বাংলাদেশের আম্পায়ারদের জন্য থাকছে বড় সুযোগ আর সাথে পরিক্ষাও।
ক’রোনায় বদলেছে ক্রিকেটের অনেক নিয়ম। আইসিসির নতুন নিয়মের কারণেই দেশের আম্পায়ারদের জন্য তৈরি হয়েছে এই সুযোগ। ক’রোনাকালের নিয়ম—ম্যাচ পরিচালনা করতে হবে স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দুটি টেস্ট ম্যাচে তাই মাঠের দরজা খুলে যেতে পারে বাংলাদেশের আম্পায়ারদের সামনে।
টেস্টে ম্যাচ পরিচালনার জন্য সাধারণত এলিট প্যানেলের আম্পায়ার নেওয়া হয়। কিন্তু এই প্যানেলে বাংলাদেশের কোন আম্পায়ারই কখনো ছিলেননা। কিন্তু নতুন নিয়মে আর সেটার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের আম্পায়ার—শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ, মাসুদুর রহমান, গাজী সোহেল ও তানভির আহমেদ সুযোগটা পেতে পারেন।
কোচিংয়ে যতটা আগ্রহ ক্রিকেটারদের, আম্পায়ারিংয়ে যেন ততটাই অনাগ্রহ। ফলে এক এনামুল হক মনি ছাড়া আইসিসির ‘ইমার্জিং প্যানেল আম্পায়ার’ ছিলেন না কোনো বাংলাদেশি। তবে এনামুল বললেন, সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশিরা পারবে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজর কাড়তে।
বিসিবি’র চিফ আম্পায়ার্স কোচ এনামুল হক মনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করা একটা বিরাট সুযোগ একইসঙ্গে অনেক বড় একটা অর্জনও। টেস্টে বাংলাদেশি আম্পায়ারদের জন্য সুযোগ আছে। আমরা জানি এখন থেকে স্বাগতিক আম্পায়াররা টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করবে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারি, মাঠে ভালো করতে পারি, তাহলে হয়তো আইসিসি আবারো ভাববে বাংলাদেশি আম্পায়ারদের বিষয়ে’।