প্রথম ইনিংসে বিশাল লিড হাতে থাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ঝটপট রান তুলে স্বাভাবিকভাবেই ইনিংস ঘোষণা করল কিউইরা। ম্যাচ জিততে বিশাল লক্ষ্য পেয়ে নেমেই টপ অর্ডার ধসে গেল পাকিস্তানের। শেষ দিনে তাদের সামনে তাই ম্যাচ বাঁচানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ। যদি সেই চ্যালেঞ্জে পাকিস্তান জিততে পারে তবে নতুন ইতিহাস গড়বে রিজওয়ানের দল।
নিউজিল্যান্ডের মাঠে চতুর্থ ইনিংসে রেকর্ড ৩৭৩ রান তাড়ার চাপ নিয়ে খেলতে নেমেই চোখে সর্ষে ফুল দেখেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। স্কোরবোর্ডে কোন রান আসার আগেই বিদায় নেন তারা। দ্বিতীয় ওভারেই আবিদ আলিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান ট্রেন্ট বোল্ট। পরের ওভারে শান মাসুদ ক্যাচ দেন টিম সাউদির বলে।
হারিস সোহেলকে নিয়ে এরপর বেশ কিছুটা সময় পার করে দিয়েছিলেন আজহার আলি। পরের স্পেলে ফিরে সাউদি ছেঁটে ফেলেন হারিসকে।
৩৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরিস্থিতিতে থেকে হাল ধরেন আজহার-ফাওয়াদ। ৩৪ রানের জুটিতে দিনের বাকি ২০ ওভার টিকে যান তারা। চরম বিপর্যয়ের মধ্যে নেমে আজহার আলি (৩৪) আর ফাওয়াদ আলম (২১) দিচ্ছেন ভরসা।
ম্যাচ জিততে শেষ দিনের উইকেটে পাকিস্তানকে হাতে থাকা ৭ উইকেট নিয়ে করতে হবে আরও ৩০২ রান। ম্যাচ বাঁচাতে খেলতে হবে পুরো দিন। টেস্ট ক্রিকেটের বাস্তবতায় তাদের সামনে পরিস্থিতি তাই ভীষণ প্রতিকূল।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের ভালো শুরু আনেন দুই ওপেনার। শতরানের জুটিতে ফিফটি করেন দুজনেই। ৬৪ করা টম ব্ল্যান্ডেলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন মোহাম্মদ আব্বাস। নাসিম শাহর পেসে ৫৩ করে ফেরেন টম ল্যাথাম।
ইনিংস ঘোষণার পরিকল্পনায় এরপর দ্রুত রান আনার অ্যাপ্রোচ নিয়েছিল তারা। তাতে উইকেটও পড়েছে দ্রুত। কেইন উইলিয়ামসন থিতু হয়ে ফিরে যান। হেনরি নিকোলস, বিজে ওয়েটলিংরাও টিকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৮০ রান তুলেই ইনিংস ছেড়ে দেয় তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর(চতুর্থ দিন শেষে):
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস) ৪৩১/১০
উইলিয়ামসন ১২৯, ওয়াটলিং ৭৩
আফ্রিদি ৪/১০৯।
পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস) ২৩৯/১০
ফাহিম ৯১, রিজওয়ান ৭১
জেমিসন ৩/৩৫
নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস) ১৮০-৫ (ডিক্লেয়ারড)
ব্লান্ডেল ৬৪, লাথাম ৫৩
নাসিম শাহ ৩/৫৫
পাকিস্তান (দ্বিতীয় ইনিংস) ৭১-৩
আজহার ৩৪*, ফাওয়াদ ২১*:
সাউদি ২/২১