বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারই বলেছেন, দেশটির সাবেক পেসার মোহাম্মদ আসিফ না কি বর্তমান সময়ের সেরা পেসার বুমরাহ-মালিঙ্গাদের চাইতেও বেশি প্রতিভাবান ছিলেন। তিনি এমনই প্রতিভাবান ছিলেন যে, মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি’ এবি ভিলিয়ার্সকে কাঁদিয়ে দিয়েছিলেন সেই পাকিস্তানি।



এবি ডি ভিলিয়ার্স কাঁদছেন, এমন ছবি অবশ্য সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে পড়েনি। তবে পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতারের দাবি এবি মাঠেই কেঁদেছিলেন।
পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আসিফের প্রশংসা করতে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন শোয়েব আখতার। মোহাম্মদ আসিফকে খেলতে গিয়ে নাকি হিমশিম খেয়েছিলেন এবি। এমনই অবস্থা হয়েছিল তাঁর যে উইকেটে দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেলেছিলেন। দাবি ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসের’।
আবেগে ভেসে গিয়ে আখতার আরো দাবি করলেন, ওয়াসিম আকরামের থেকেও বড় বোলার মোহাম্মদ আসিফ। এমনকি ভারতের টেস্ট স্পেশালিস্ট ভিভিএস লক্ষ্ণণও নাকি নাকানি চোবানি খেয়েছিলেন তাঁকে সামলাতে গিয়ে।
শোয়েব বলেন, ‘লক্ষ্মণ তো আমাকে একবার বলেই ফেলল, আসিফকে খেলার আগে বুক দুরুদুরু করে। এবি ডি ভিলিয়ার্স একটি ম্যাচে আসিফকে খেলতে গিয়ে তো কেঁদেই ফেলল। ও অনেক বড় মাপের বোলার। ওকে সামলাতে গিয়ে বিশ্বের অনেক বড় ব্যাটসম্যান হিমশিম খেয়েছে। কেউ স্বীকার করে, কেউ করে না।’
আসিফ-আখতার জুটি। একটা সময় সত্যিই এই জুটি বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের হাঁটু কাঁপিয়ে দিত। তবে সেই ত্রাসে এবির মতো তাবড় ব্যাটসম্যান কাবু হয়েছিলেন কি না বলা মুশকিল। তিনি তো আবার অন্য ছাঁচে গড়া। তাঁকে কাঁদানো কি এতই সহজ! যদিও আখতারের বিস্ফোরক দাবির সত্যতা যাচাই হয়নি এখন পর্যন্ত।
২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ে নাম জড়ানো মোহাম্মদ আসিফ যে প্রতিভাবান ছিলেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আখতার এমনও জানিয়েছেন, আসিফের পর বর্তমান প্রজন্মে বুমরাহ তাঁর কাছে সব থেকে স্মার্ট বোলার। শোয়েব বলেছেন, ‘বুমরাহর সব থেকে বড় অস্ত্র দ্রুত গতির বাউন্সার। ওই বাউন্সার অনেক বড় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই বোঝা মুশকিল।’