মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৪৮ রানে অলআউট হয়েছে উইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের ধসিয়ে দিতে এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ।



এই ম্যাচে ব্যাটিং শক্তি বাড়িয়ে সতর্ক শুরু করেছিল উইন্ডিজ। একজন পেসার কমিয়ে একাদশে নিয়েছিল বাড়তি ব্যাটসম্যান। সুনিল আম্রিসের সঙ্গে অভিষিক্ত সেই ব্যাটসম্যান কিওর্ন ওটলি উইকেটের পরিস্থিতি বুঝে নিয়েছিলেন টিকে থাকার ব্রত। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বেশিক্ষণ টেকেনি তাদের প্রতিরোধ।
পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজের কিছুটা ভেতরে ঢোকা বলে গালিতে মেহেদী মিরাজের হাতে ধরা পড়েন আম্রিস। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। দ্বিতীয় অনেকক্ষণ ব্যাট করেছেন ওটলি আর জশুয়া ডি সিলভা। কিন্তু কোনভাবেই রান বের করতে পারছিলেন না তারা।
২৬ রানের জুটির পর ১৪তম ওভারে গিয়ে পড়ে উইকেট। হাসান মাহমুদকে ছক্কায় উড়ানো ওটলি মনে হচ্ছিল তাল পাচ্ছেন। অন্যদিকে একের পর এক ডট বল খেলে তার সঙ্গী জশুয়া ছিলেন থিতু হওয়ার চেষ্টায়।
দুজন ফেরেন মিরাজের একই ওভারে। ওটলি মিরাজের লেন্থ বলে এক্সট্রা কাভারে দেন ক্যাচ। দুই বল পরই আরেকটি লেন্থ বলে বোল্ড হয়ে যান জশুয়া।১৫তম ওভারে বল করতে এসেই উইকেট তুলেন সাকিব। আন্দ্রে ম্যাকার্থি সাকিবের সোজা বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে দৃষ্টিকটুভাবে হন বোল্ড।
আগের ম্যাচে চরম বিপদের মুখে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন সেই কাইল মায়ার্স এবার কাটা পড়েন রান আউটে। ৯ বল খেলে কোন রান করার আগেই বিদায় নিতে হয় তাকে। মাত্র ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে উইন্ডিজ।
এরপর অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ আর এনক্রুমা বোনার মিলে প্রতিরোধের চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু ৬ষ্ঠ উইকেটে ২৬ রানের বেশি আসেনি। জেসন সাকিবের বল সামলাতে পারেননি। ২৬ বলে ১১ করে হয়ে যান এলবিডব্লিউ।
কিছুটা সাবলীল খেলা বোনার পরের ওভারেই হাসানের উইকেটে টেনে বলে হয়ে যান বোল্ড। ৭১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একশো আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। ৮৮ রানে মিরাজের বলে ফিরে যান রেমন রেইফারও। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে পাওয়েলকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন মিরাজ।
অফ স্পিনে ২৫ রানে তিনি নেন ৪ উইকেট। ওয়ানডেতে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে ২৯ রানে ৪ উইকেট ছিল মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।