মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে কোনো দলকেই এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। তাদের হয়ে স্বাগতিকদের বেশ ভালো জবাব দিচ্ছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে। দিনের খেলা শেষে ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।
অথচ ৩৬ ও ৩৭ রানের মাথায় দু’বার করুনারাত্নেকে আউট করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। একবার নেয়নি রিভিউ, আরেকবার হাতে রাখতে পারেনি ক্যাচ। ফলে নিজের উইকেট বাঁচিয়ে রেখেই দিন শেষ করতে পেরেছেন লঙ্কান অধিনায়ক। তার ব্যাটেই এখন সামনে এগোনোর আশা দেখছে শ্রীলঙ্কা।
এবাদত হোসেনের করা ইনিংসের ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলটিতে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন করেছিলেন এবাদত। কিন্তু সাড়া দেননি আম্পায়ার। লেগ স্ট্যাম্প লাইনের বাইরে পড়েছে ভেবে বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। সেটিই কাল হয়েছে। রিপ্লেতে দেখা যায় আউট ছিলেন করুনারাত্নে।
তখন করুনারাত্নে খেলছিলেন ৩৬ রানে। পরের ওভারে আবারও জীবন পান তিনি। এবার তাইজুলের বলে শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে তাকে তালুবন্দী করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। দু’বার বেঁচে যাওয়ার পর আর কোনো ভুল করেননি লঙ্কান অধিনায়ক। দিনের খেলা শেষে রিভিউটি না নেওয়ার কারণ জানিয়ে গেছেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এবাদতের বলে যেটা হয়েছে…, এর আগেও এমন অনেক রিভিউ আমি নিয়েছি। যেগুলো দেখতাম লেগস্ট্যাম্পের বাইরে পড়ায় রিভিউ নষ্ট হতো। তো এই চিন্তা করে আমি আর সাহস পাইনি (রিভিউ নেওয়ার)। লেগসাইডে পিচ করা বলে রিভিউ নিয়ে রিভিউ নষ্ট করবো কেনো? (হাসি)।’
দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে রিভিউকাণ্ডের দেখা মিলেছে আরও একবার। তাইজুলের করা ইনিংসের ৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে হাঁটু পুরোপুরি না গেঁড়েই সুইপ করতে গিয়েছিলেন করুনারাত্নে। বল তার ব্যাটের বদলে আঘাত হানে প্যাডে। সঙ্গে সঙ্গে জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডাররা।
কিন্তু তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। আউট না পেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াই দেখান তাইজুল। কয়েক মুহূর্ত আলোচনা করে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায়, সেই বলের ইমপ্যাক্ট ছিল অফস্ট্যাম্পের বাইরে। ফলে রিভিউ হারায় স্বাগতিকরা। এটির ব্যাপারে লিটন বলেছেন, ‘শেষের যে রিভিউটা ছিল, অনেক ক্লোজ কল ছিল। দুইজনে আলোচনা করেই রিভিউটা নেওয়া হয়েছিল।’