সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকতে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল আজকের ম্যাচটি। কিন্তু সেই লড়াই করতেই পারলোনা লঙ্কানরা। বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হলেও পরে দিতে হলো ক্যাচ মিসের খেসারত। ব্যাটিংয়ে বোল্ট-সাউদির তোপে শুরুতে একের পর এক হারিয়ে কিউইদের কাছে হেরে সেমির লড়াই থেকে প্রায় ছিটকে গেল লঙ্কানরা। আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কিউইদের কাছে শ্রীলঙ্কা হেরেছে ৬৫ রানে। বিশাল জয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত করেছে কিউইরা।


সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করতে নেমে গ্লেন ফিলিপসের ১০৪ রানে ভর করে লঙ্কানদের ১৬৮ রানের লক্ষ্য দেয় কেন উইলিয়ামসনের দল। জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯.২ ওভারে ১০২ রান করতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বোল্ট-সাউদির পেসের তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটার ফেরেন ৮ রানের ভেতর। ২৪ রানের মাথায় পড়ে আরো এক উইকেট। এরপর রাজাপাকসে কিছুটা চেষ্টা করেন। ২২ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে তার বিদায়ের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শ্রীলঙ্কা
পরবর্তীতে একদিক আগলে কেবল হারের ব্যবধান কমান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তার ৩২ বলে ৩৫ রানের ইনিংস কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। এছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুতে পারেননি।
কিউইদের হয়ে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২ টি করে উইকেট নেন স্যান্টনার ও শোধি। সাউদি-ফার্গুসন নেন ১ টি করে উইকেট।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে উইলিয়ামসনের দল। দলীয় ৭ রানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর ৮ রানের ব্যবধানে অধিনায়কের উইকেট হারায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। চাপে পড়া দলটিকে এরপর পথ দেখিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে গড়েছেন ৮৪ রানের জুটি।
২৪ বলে ২২ রান করে মিচেল ফিরলেও রানের চাকা থামতে দেননি ফিলিপস। ৪ ছয় ও ১০ চারে ১০৪ রানে করে শেষ ওভারে আউট হয়ে ফেরেন ফিলিপস। নির্ধারিত ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করে ১৬৭ রান।
প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের সেরা বোলার রাজিথা। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ধনঞ্জয়া, থিকশানা, হাসারাঙ্গা ও লাহিরু কুমারা।