টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গ্রুপ টু’র দলগুলো খেলেছে মাত্র ২টি করে ম্যাচ। কিন্তু অঘটন ও বৃষ্টির বাগড়ায় পাল্টে গেছে অনুমিত অনেক সমীকরণ। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই শেষ ওভারের শেষ বলে হেরে গিয়ে পাকিস্তান এমন এক অবস্থায় পড়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে (৩০ অক্টোবর) হাইভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাপোর্ট করতে হবে বাবর আজমের দলকে!


ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচই শেষ ওভারে হেরে যাওয়ায় রান রেটে খুব একটা পিছিয়ে নেই পাকিস্তান। তবে পয়েন্টের ঘরেও কিছুই এখনও জমা পড়েনি। এখনও পাকিস্তানের পক্ষে শেষ ম্যাচগুলো জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দুই দলের একটি হয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব।
কিন্তু সে জন্য অন্যান্য ম্যাচের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে বাবর আজমের দলকে। বিশেষ করে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটাই সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে। প্রোটিয়ারা যদি ভারত ও নেদারল্যান্ডসকে হারায় এবং, ভারত হারায় বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে; তবে ৬ পয়েন্টের বেশি নিয়ে সেমিতে চলে যাবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আর কপাল পুড়বে পাকিস্তানের।
অন্যদিকে, দুই জয় নিয়ে বেশ স্বস্তিতেই আছে রোহিত শর্মার দল। তবে তাদের কাজও কেবল অর্ধেকই সমাপ্ত হয়েছে। সেমিতে যেতে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ২টি জয় পেতে হবে ভারতকে। তবে, ৬ পয়েন্ট নিয়েও সেমিফাইনালে যেতে পারে ভারত। সেক্ষেত্রে অবশ্য, অন্যান্য ম্যাচের ফল যেতে হবে ভারতের অনুকূলে।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ১টি পয়েন্ট হারিয়ে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সামনে আছে ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচ।
এশিয়ান দুই জায়ান্টের কাছেই যদি হেরে বসে টেম্বা বাভুমার দল, আর জয় পায় ডাচদের সাথে, তবেও হয়তো সেমির আশা ছেড়েই দিতে হবে প্রোটিয়াদের। তবে, এই দুই বিগ ম্যাচের মধ্যে একটিতেও জয় পেলে কোয়ালইফাই করার ভালো সম্ভাবনা থাকবে প্রোটিয়াদের সামনে। তবে এটাও ঠিক, জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে যাওয়া সম্ভব। আর সেই সমীকরণে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত।
আর, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলে ঝড় তোলা জিম্বাবুয়ের পক্ষেও সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব। তবে সে জন্য ভারত, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটিতে জয় পেতে হবে জিম্বাবুয়েকে।