ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই তথা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিদায় ঘণ্টা বাজার পর লা লিগাতেও পথ হারাতে বসেছিলো স্প্যানিশ ক্লাব এফসি বার্সেলোনা। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে আরও একবার দলকে উদ্ধার করলেন রবার্ট লেভানদোস্কি। ফলস্বরূপ ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ের হাসিতে মাঠ ছাড়লো জাভি হার্নান্দেজের দল।
ভ্যালেন্সিয়ার ঘরের মাঠ মেস্তায়া স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে লিগ ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। যোগ করা সময়ে গিয়ে গোলটি করেন পোলিশ তারকা।


ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা যায় বার্সেলোনাকে। মাঝমাঠ দখলে রেখে করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করার কাজটা ঠিকঠাক করলেও শেষে গিয়ে গুলিয়ে ফেলছিল তারা।
২৩তম মিনিটে শেষটা দারুণভাবে সেরে দুই হাত উঁচিয়ে উল্লাসে মাতেন আনসু ফাতি। কিন্তু লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললে থেমে যায় তার উদযাপন।
৪৩তম মিনিটে আরও একবার হতাশায় পুড়তে হয় বার্সেলোনাকে। জর্দি আলবার ক্রসে রবার্ট লেভানদোস্কির হেড পোস্টে বাধা পায়। ওখান থেকে প্রতি-আক্রমণে ভীতি ছড়ায় ভালেন্সিয়া। তবে কোনো বিপদ হতে দেয়নি বার্সেলোনার রক্ষণ।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে সামুয়েল লিনো জালে বল পাঠান, তবে গোল মেলেনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, তার আগে বল আরেক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোসের হাত ছুঁয়ে আসে। ভিএআরের সাহায্যে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান রেফারি।
৮২তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান লেভানদোস্কি। কিন্তু প্রথম প্রচেষ্টায় শট নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বারে নেন দুর্বল লক্ষ্যভ্রষ্ট শট।
অবশেষে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোলের দেখা মেলে। রাফিনিয়ার বাড়ানো দারুণ ক্রসে ছয় গজ বক্সে পা বাড়িয়ে নিখুঁত টোকায় বলকে ঠিকানায় পাঠান লেভানদোভস্কি। উচ্ছ্বাসে ভাসে বার্সেলোনা।
লা লিগায় টানা তৃতীয় ম্যাচে গোল পেলেন লেভানদোভস্কি। ১২ ম্যাচে তার গোল হলো ১৩টি, আসরে সর্বোচ্চ।
১২ ম্যাচে ১০ জয় ও এক ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩১। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও সমান ৩১।