চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। আজ দ্বিতীয় দিনের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এ ম্যাচ অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই দু’দলের হয়ে নির্ধারিত অধিনায়ক টস করতে না এসে পাঠানো হয় অন্য দুজনকে।


সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফির জায়গায় আসেন মুশফিক আর বরিশালের অধিনায়ক সাকিবের জায়গায় আসেন মিরাজ। অবশ্য মুশফিক সিলেটের হয়ে টসে আসলেও অধিনায়ক হিসেবে প্লেয়ার্স লিস্টে স্বাক্ষর ছিল মাশরাফির। পরে অবশ্য কর্তৃপক্ষ এর কারণও ব্যাখ্যা করেছে।
তবে বরিশালের হয়ে সাকিবের না আসার কারণ ব্যাখ্যা করেনি কর্তৃপক্ষ। এ ম্যাচে আবার এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন সাকিব। দিনের প্রথম ম্যাচেই অবশ্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নাখোশ ছিলেন তামিম ইকবাল। ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে সৌম্যর আউট নিয়ে মাঠেই জড়িয়ে পড়েন খুলনার খেলোয়াড়রা।
টিভি আম্পায়ার প্রথমে সৌম্যকে আউট ঘোষণা করলেও পরক্ষণেই তাকে নট আউট ঘোষণা করেন। এ নিয়ে তামিমকে আম্পায়ারের কাছে ব্যাখ্যা চাইতেও দেখা যায়।
দিনের শেষ ম্যাচে বরিশালের ইনিংসেও আবার ভুল করে বিতর্কের জন্ম দেন আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান লিটু। বরিশালের ইনিংসের ১৬ তম ওভারের ঘটনা। ওই ওভারে রেজাউর রহমানের করা একটি ডেলিভারি সাকিবের মাথার প্রায় ২ ফুট ওপর দিয়ে গেলেও আম্পায়ার ওয়াইড ডাকেননি।
এতে করে ক্ষুব্ধ সাকিব তেড়ে গিয়ে আম্পায়ার লিটুকে চার্জ করেন। এটা কি ওয়াইড নয়? খালি চোখে মনে হচ্ছিল, সাকিব একটু বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন, আবার কোনো অঘটন ঘটে কি না!
তবে বড় কিছু হয়নি। সাকিব তেড়ে গেলেও বড় কোনো অঘটন ঘটাননি। শুধু ঝাঁঝালো কণ্ঠে আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি ওয়াইড ছিল না?
উল্লেখ্য ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। ২০৯ স্ট্রাইক রেটে ৩২ বলে ৪ ছয় ও ৭ চারে ৬৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন তিনি। এতে করে বরিশাল সিলেটের সামনে ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করায়।