আবারও সেই তৌহিদ হৃদয়। আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে জিতিয়েছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। আজও ব্যাট হাতে দুর্বার তিনি। আগের দুই ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে খেলেছেন ৫৫ এবং ৫৬ রানের দুটি ক্যামিও ইনিংস। এবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খেললেন ৪৬ বলে ৮৪ রানের এক টর্নেডো ইনিংস।


সঙ্গে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। ৩৯ বলে তিনি খেললেন ৫৪ রানের এক অতি কার্যকরি ইনিংস। দু’জনের এই দুই ইনিংসের সুবাধে এবারের বিপিএলে প্রথম ২০০ প্লাস স্কোর গড়লো সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুধু তাই নয়, বিপিএলে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোর গড়লো তারা।
এদিকে টানা তিন ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়ে তামিমের পর মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে টানা তৃতীয় ফিফটির রেকর্ড গড়লেন তৌহিদ হৃদয়। আর বিপিএলের ইতিহাসে ষষ্ঠ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। জয়ের জন্য ২০২ রান করতে হবে ঢাকা ডমিনেটর্সকে।
টানা তিন ম্যাচে ফিফটি প্লাস স্কোর করা চাট্টিখানি কথা নয়; কিন্তু তরুণ ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় সেটা দেখিয়ে দিলেন এবারের বিপিএলে। তার ব্যাটে চড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সও উড়ছে। টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর চতুর্থ ম্যাচেও দলকে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে দিয়েছেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ হারিসের উইকেট হারায় সিলেট। ৬ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয় মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ১০৫ রানের মাথায় আউট হন শান্ত। ৩৯৮ বলে ৭টি বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।
তৌহিদ হৃদয় ৪৬ বলে ৫টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কায় ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংসটি খেলেন। জাকির হাসান করেন ১০ রান। ১১ রান করেন থিসারা পেরেরা। মুশফিক আউট হন ৬ রান করে। ইমাদ ওয়াসিম আউট হয়ে যান কেবল ১ রান করে। আকবর আলি রানআউট হন ৬ রানে। মাশরাফি ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ৩ উইকেট নেন আল আমিন হোসেন, ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, ১টি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি এবং আরিফুল হক।