গতকাল (১৪ জানুয়ারি) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটার জাকের আলি অনিকের বিতর্কিত এলবিডব্লুর আউট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনা করেন ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। আর সেই অপরাধে তাকে শাস্তি দিল বিসিবি।


সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ আনেন মাঠের দুই আম্পায়ার ডেভিড মিলন্স, মোরশেদ আলি খান, টিভি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ ও চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামান স্বপন।
ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য বিসিবির আচরণবিধির ২.৭ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে, যেখানে আছে ‘ম্যাচের কোনো ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা বা অনুপযুক্ত মন্তব্য করা’। আর সেকারণে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তার। একই সঙ্গে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে তার ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে।
কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন রোববার ম্যাচ রেফারির দেবব্রত পালের কাছে সাজা মেনে নেওয়ায় আর আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
গতকাল ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারিং ও এডিআরএস নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন সালাউদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে এডিআরএস নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আসলে কিছু বলতে পারবো না। এটা (এডিআরএস) নিয়ে তো বিতর্ক অনেক চলছে। আমি শুরুতেই বলেছিলাম একটা-দুইটা সিদ্ধান্তে আপনি ম্যাচটা হেরে যাবেন। সিদ্ধান্তগুলো আরেকটু ভালো হয়। আরেকটু চিন্তা ভাবনা করে দেয় তাহলে ভালো। খালি চোখে যেটা আমরা দেখছি নট আউট, সেটা থার্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দিচ্ছে। কি করতে পারি? আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা মাঠে চিল্লাচিল্লি করি এটা কি চান? এমনিই সাসপেন্ড করে দেবে। ঠিক আছে। যেহেতু খেলা চলছে। প্রতিবাদ করেও তো লাভ নেই। আমরা লিখিত দিব বা প্রতিবাদ করবো সেটা করেও তো লাভ নেই। কোনো লাভ হবে না। আসলে কিছু করার নেই। হাত-পা বাধা আছে। যা হবার তাই হবে আর কি।’
‘এডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো আমার মনে হয়। আম্পায়ার যেটা দিয়ে দেবে, সেটা দেওয়াই ভালো। এটা তো একেবারে লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে, এমন না যে…। আমার কাছে মনে হয় একটা দুটা সিদ্ধান্ত…প্রথম ম্যাচেও একটা সিদ্ধান্ত খারাপ হয়েছে, আজকেও। এমন ডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।’