ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৬৬ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৪৮ বলে ফিফটি করলেও পরের ১৮ বলে করেছেন ৩৯ রান। চলতি আসরে তার ব্যাটে নিয়মিতই রান আসছে। কিন্তু এই পারফরম্যান্সে কি শান্ত তার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পারবেন?
ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে শান্ত পরিষ্কার বলে দিলেন, এটা তার হাতে নেই, ‘পরিবর্তন হবে কি না তা তো বলতে পারব না। এটা যার যার চিন্তা-ভাবনা থেকে বলে। এটা আসলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। পরিবর্তন হবে কি হবে না, এটা নিয়ে আমি বেশি চিন্তিতও না। যদি হয় আলহামদুলিল্লাহ, যদি না হয় আমার কিছু করার নাই। এটা যার যার চিন্তা থেকে বলে।’
এ দেশে ট্রোলিংয়ের সংস্কৃতি বেশি দিনের নয়। এর আগে লিটন কুমার দাস থেকে শুরু করে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের মতো মহাতারকাদেরও ট্রোল সইতে হয়েছে। এখন তো অনেককে নিয়েই নোংরা ট্রোল হয়। তাদের মাঝে শান্ত অন্যতম। কিভাবে তিনি এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন?
জবাবে সিলেটের এই তারকা ব্যাটার বলেন, ‘এটা (ট্রোল) আমার জন্য যতটা না কঠিন তার চেয়ে বেশি কঠিন আমার পরিবারের জন্য। কারণ সত্যিকার অর্থে আমারও তো পরিবার আছে। আমি যেভাবে বুঝি আমার পরিবার তো সেভাবে বোঝে না। তারা কষ্ট পায়, তাদেরও খারাপ লাগে, কারণ তারা বাইরে যায়।’
পরিবার বিব্রত হওয়ায় তার কষ্টটা বেশি হয় বলে জানান শান্ত, ‘এ কারণেই আমি মাঝেমধ্যে একটু আপসেট হয়েছি। আমারও খারাপ লেগেছে। কিন্তু যেটা বললাম, এটা তো আমি কন্ট্রোল করতে পারব না। অনেকেই না জেনে না বুঝে কথা বলে ফেলে, টিমের প্ল্যান বা আমার নিজস্ব প্ল্যান এবং আমি কতটা পরিশ্রম করি, সেটা তো অনেকেই জানে না। জানার প্রয়োজনও নেই। আসলে যেটা বললাম, আমি যত কথা বলব কথা বলাই হবে। এটা যার যার চিন্তা-ভাবনা, জেনে-বুঝে কথা বললে ভালো। আমি এটা বলছি না যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। আমি খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে। তবে আরেকটু ডিসেন্ট ওয়েতে হতে পারত। যেটা আমার ফ্যামিলির জন্য ভালো হতো।’