এবারের বিপিএলে সবচেয়ে লজ্জাজনক হারের মুখ দেখল খুলনা টাইগার্স। প্রথম ইনিংসের বিরতির পর তামিমদের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০৯ রানের। অনুমিত ছিল, কয়েক ওভার বাকি থাকতেই হয়তো জয় ছিনিয়ে নেবে ইয়াসির আলীর দল। কিন্তু এই লক্ষ্যেই হোঁচট খেল খুলনা। মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয়ে ২৪ রানে হেরেছে তামিমরা।


১০৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে খুলনা টাইগার্স গুটিয়ে গেছে মাত্র ৮৪ রানেই। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন তামিম ইকবাল। এছাড়া ২১ রান করে অধিনায়ক ইয়াসির আলি। এর বাইরে আর কোনো ব্যাটারই পাননি দুই অংকের রানের দেখা।
ঢাকার হয়ে ৩.৩ ওভার বল ঘুরিয়ে ৯ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। যা তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি। নাসির হোসাইন ও আল-আমিন হোসাইন দুটি করে এবং সালমান ইরশাদ ও আমির হামজা নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
টানা ছয় ম্যাচ হারার পর জয়ের দেখা পেয়ে ঢাকা ডমিনেটরস। দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয় নম্বরে রয়েছে তারা। অন্যদিকে দুই ম্যাচ পর আবারও হারলো খুলনা। সমান সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার পাঁচে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলি।
ব্যাট হাতে নেমে খুলনার স্পিনার নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণিতে পড়ে ঢাকা। ৮ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে ২ উইকেট নেন নাহিদুল। ঢাকার ওপেনার মিজানুর রহমানকে ১ ও আফগানিস্তানের উসমান ঘানিকে শূন্য হাতে বিদায় করেন তিনি।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ মিথুনকে রানের খাতা খোলার আগেই আউট করেন নাহিদুল। স্পেলের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ব্লেককে ৩ রানে থামান নাহিদুল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেরা বোলিং ৪ ওভারে ৬ রানে ৪ উইকেট নেন নাহিদুল।
৩৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। এ অবস্থায় ঢাকাকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ৩৮ বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। অধিনায়ক নাসিরের সাথে পঞ্চম উইকেটে ৩৩ বলে ৪০ রান যোগ করেন সৌম্য।
নাসিরকে ৩ রানে শিকার করে জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। অধিনায়ক ফেরার পরপরই নাসুমের বলে বোল্ড হন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন সৌম্য।
দলীয় ৮৪ রানে সৌম্য ফেরার পর একশর নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে ঢাকা। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১২ ও আল আমিন হোসেনের অপরাজিত ১০ রানে তিন অংকে পা রাখে ঢাকার স্কোর। ২ বল বাকী থাকতে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। নাহিদুলের পর ১১ রানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাসুম।