নারী জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা মাসে বেতন পান মাত্র ১০ হাজার টাকা করে। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই মেয়েদের বেতন বাড়ানো নিয়ে কথা উঠেছে। নারী খেলোয়াড়রাও তাদের বেতন বাড়ানোর কথা বিভিন্নভাবে বলে আসছিলেন। অবশেষে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের নারী ফুটবলারার ৫ গুন বেশি বেতন দাবি করেছেন। তথ্যটি দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি এখন কিছু সমস্যায় পড়েছি। কিছুদিন ধরে মেয়েরা আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। দুইদিন আগে আমি বসেছিলাম। তারা কিছু দাবী করেছে। যা সম্পূর্ণ যৌক্তিক। ওরা যা চেয়েছে সেটা শুনতেই আমার লজ্জা লেগেছে। ওদের আমরা মাসে দিয়ে থাকি ১০ হাজার টাকা। এই টাকা দিতেই তো আমাদের জান বের হয়ে যাচ্ছে। এখন ওরা চেয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। ওরা ম্যাচ ফি চেয়েছে। তাদের খাওয়ারও সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। এখন আমরা একজন খেলোয়াড়কে দিনে দেই ৭০০ টাকার খাওয়ার খরচ। তাতে মেয়েদের হচ্ছে না। তাদের আরো খাদ্য দরকার। এখন তারা যে খাদ্য যাচ্ছে তাতে প্রতিদিন ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগবে। এ ছাড়াও মেয়েরা চেয়েছে উন্নতমানের বুট। ওরা যা যা চেয়েছে সবাই যৌক্তিক।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওরা যে জিনসগুলো চেয়েছে সেটা আমরা খেলোয়াড় থাকতে পাইনি। তার মানে এই নয় যে, আমি থাকতে ওরা পাবে না। এখন আমি চেষ্টা করছি এগুলোর ব্যবস্থা করতে পারি কিনা। আমি সকালে অফিসে এসেছি এই কারণেই যে, কিভাবে মেয়েদের এই চাওয়াটা পূরণ করা যায়। ৫০ হাজার টাকা করে চেয়েছে। আমি দিতে চাই ৪০ হাজার টাকা করে। তার পর দেখা যাক কি হয়’
কতজন নারী ফুটবলারকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে? বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘এটা শুধু জাতীয় দলের জন্য। জাতীয় দলের খেলোয়াড় ধরা হয় ৩০ জন। বাকি ৩০ জন বয়সভিত্তিক। আমরা ক্যাটাগরি করে মেয়েদের বেতন বাড়িয়ে দেবো।’
নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘এগুলো নিয়ে আপনাদের চিন্তা করতে হবে না। তাদেরকে কিভাবে সাপোর্ট দেবো সে চিন্তা আমার আছে।’